তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়


আপনি কি আপনার তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে সমস্যা আছেন। আপনার মুখে সারাক্ষণ তেল তেল করে৷ তোকে চিঠিতে ভাব লাগে৷ তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গায় এসে। আজকের এই পোস্টে আমরা জানাতে চলেছি কিভাবে আপনি তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে নিজের ত্বকের তৈলাক্ত কমাবেন।

তৈলাক্ত-ত্বক-ফর্সা-করার-ঘরোয়া-উপায়

সাধারণত আমাদের সকলেরই এটি একটি সাধারণ সমস্যা৷ তবে এটা তুমি চিন্তার বিষয় নয়, খুব সহজেই তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করার মাধ্যমে এই সমস্যাটি দূর করা যাবে৷ কিছু সাহস টিপস ও ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করলেই সহজেই এই সমস্যা হতে মুক্ত ভাবে না আপনারাও৷ তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের এই পোস্ট৷

পেজ সূচিপত্র: তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়

প্রায় আমাদের সকলেরই প্রশ্ন থাকে যে তৈলাক্ত ত্বক কেন হয়৷ কেনই বা আমাদের মুখ এত তেল তেল করে৷৷ যার ফলে আমরা ভাবি তৈলাক্ত ত্বক কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো কিংবা কোন লোকের কারণ বা রোগ নয়তো৷ আসলে তা না আমাদের শরীরের কিছু অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কারণে এমনটা ঘটে অনেক রকম কারণ এর মধ্যে নিচে কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো৷ যার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারবো আমাদের ফেস কেন এত তৈলাক্ত হয়৷ তাহলে চলুন সে বিষয়ে জানা যাক৷
  • হরমোনালান পরিবর্তনের কারণে: মূলত আমাদের কৈশোর কালে হরমোনের তারতম্যের কারণে ত্বকের স্বাভাবিক  শিবাম উৎপাদন বেড়ে যায় যার ফলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব বেড়ে যায়৷
  • বংশগত কারণ: অনেকের মুখের তৈলাক্ততা বংশগত কারণেও হয়ে থাকে৷ যদি আপনার পরিবারে কারো ত্বক তৈলাক্ত হয় থাকে তবে আপনারও থাকতে পারে
  • অতিরিক্ত মেকাপের ব্যবহার: ভারী মেকআপ ও অতিরিক্ত তেল সমৃদ্ধ মেকআপ ব্যবহারে ত্বকের শিবাম বেড়ে যায় যাতে ত্বকে তেলের প্রভাব অনেক বেড়ে যায়
  • খাদ্যাভাস ও প্রয়োজন  অনুযায়ী পানি পান না করা: খাবার ও প্রক্রিয়াজাত খাবার আমাদের ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে সাথে পানি কম্পান করলে বা শরীরে হাইড্রেশন কমে গেলে সিবাম বেড়ে যায় যার ফলে ত্বক হয়ে ওঠে অতিরিক্ত তৈলাক্ত৷

বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক

সাধারণত আমরা সকলেই জানি বেসন ও হলুদ প্রাকৃতিক উপাদান যা খাবার এর পাশাপাশি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে। বেসন ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে ও হলুদ ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে৷ কিন্তু আমাদের মনে প্রশ্ন থেকে যাই আমরা কিভাবে বুঝানো হলুদের ফেসপ্যাক তৈরি করব৷ চলুন জানা যাক কিভাবে বেছানো হলুদের ফেসপ্যাক বানানো হয়৷
  • প্রথমে আপনারা দুই টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে আধা চামচ হলুদ মিশিয়ে নিন৷
  • কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল বা দুধ যেটি আপনার কাছে থাকবে সেটি মিশিয়ে নিতে পারেন৷
  • বেসন, হলুদ ও গোলাপ জল বা দুধ দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন৷
  • সরাসরি মুখে লাগান এবং 15  থেকে 20 মিনিট অপেক্ষা করুন৷
  • প্যাকটি শুকিয়ে আসলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷
যদি আপনি এই ঘরোয়া ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তোলেন৷ এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করেন তাহলে আপনারত্বক হবে তেলমুক্ত ও মসৃণ৷ তবে অবশ্যই আপনারা খেয়াল রাখবেন যেন অতিরিক্ত ব্যবহার করা না হয়৷ অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হলুদের ব্যাপারে ত্বকে হলদে ভাব পড়তে পারে ৷তাই সতর্কতার সহি প্র্যাকটি ব্যবহার করবেন৷ এবং অতিরিক্ত ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন৷তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়
টমেটোর রস ব্যবহার
আপনাদের চিন্তা আসতে পারে টমেটো রস ব্যবহার করে কিভাবে  তৈলাক্ত কমানো যাবে৷ টমেটো তো আমরা খাবার জন্য ব্যবহার করি৷ আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা টমেটো শুধু খাবার নয় এটি রস ব্যবহার ফলে আমাদের ফেসের তৈলাক্ত অবস্থাকে কমাবে এবং ত্বককে আরো ফর্সা করবে৷ । টমেটো আমাদের সকলের পরিচিত ও নিত্যদিনের ব্যবহারই উপাদান৷ টমেটো আমাদের ত্বকের নানান কাজে ব্যবহার করা যায়৷ এর দ্বারা ফেসের তেল দূর করা যায়৷ টমেটো তে থাকা লাইকোপিন উপাদান ত্বকে তেল নিয়ন্ত্রণ করে৷ তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ব্যবহার করবেন?
  1. একটি স্বাস্থ্যকর টমেটো বাছাই করে নিন৷
  2. ঘরে থাকা ব্লেন্ডার দিয়ে  পিষে রস বের করুন৷
  3. তুলার সাহায্যে সে রস আপনার ত্বকে লাগান।
  4. এরপরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ৷

আপনারা যদি নিয়মিত টমেটোর রস ব্যবহার করেন তাহলে খুব সহজে আপনার তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে৷ টমেটো রস ত্বককে হালকা রুক্ষ করে দিতে পারে তাই ব্যবহারের পরে ত্বক মহেশেরাইজ করুন৷ যাতে আপনার ফেসে খুব ভালোভাবে প্রভাব পড়ে এবং পরবর্তীতে যেন ত্বক রুক্ষ না হয়ে পড়ে৷ তাহলে আপনি আপনার বাসায় ব্যবহার করতে পারেন খুব সহজে এই পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনার অফিস আগের চেয়ে অনেক তেল মুক্ত হবে৷

অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার

বর্তমান সময় আমরা অনেকেই জানিনা যে এলোভেরা কত উপকারী আমাদের ফেসের জন্য৷ এলোভেরা ত্বকের জন্য অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়৷ এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী৷ এলোভেরা আমাদের ত্বককে শীতল রাখে ও ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয়৷ যা আমাদের দেশকে তেল মুক্ত করে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব থেকে বিরত রাখে এবং ত্বকের চিঠিটা ভাব দূর করতে সাহায্য করে এলোভেরা৷, তাহলে জেনে নেওয়া যাক আমরা কিভাবে ব্যবহার করব অ্যালোভেরা জেল?
  • প্রথম একটি তাজা এলোভেরা বেছে নিন ও পাতা কেটে ভিতর থেকে জেল গুলি বের করে নিন৷
  • সরাসরি জেল টি মুখে লাগান ও বিশ মিনিট অপেক্ষা করুন৷
  • ২০  মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন৷
  • সব থেকে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করুন৷
অ্যালোভেরা আমাদের ত্বকে অনেক উপকারী কাজ করলে ও এর বেশি ব্যবহার ত্বকের শুকনো করে ফেলে তাই অতিরিক্ত ব্যবহার হতে বিরত থাকুন৷ প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করুন এবং ব্যবহার করার পর ফেসকে সুন্দরভাবে ময়েশ্চারাই জ করুন যাতে আপনার ফেস সূক্ষ্ম না হয় এবং তৈলাক্ত কমে যায়৷ সঠিকভাবে ও পরিমান সহি ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বক এর ওতেল ভাব কমে যাবে৷তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়

মধু ও লেবুর মিশ্রণ

মধু একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এটি শুধু আমাদের শেষ নয়, এটি আমাদের শারীর কভাবে অনেক উপকার করে৷ মধু ও লেবু ত্বকের যত্নে অনেক আগের একটি উপাদান৷ মধুত ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে ময়েশ্চারাইজ করে ও লেবু থাকা সাইট্রিক এসিড আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব ও তেল নিয়ন্ত্রণ করে৷ তারপরে আপনি একটি সুন্দর তৈলাক্ত মুক্ত ফেচ উপহার পান৷ ত্বকের তৈলাক্ত কমানোর জন্য লেবু ও মধুর মিশ্রণের ভূমিকা অনেক৷ তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে তৈরি করবেন?
  • এক টেবিল চামচ মধু নিন ও অর্ধেক লেবুর রস বের করুন৷
  • মধু ও লেবুর রস সুন্দরভাবে মিশিয়ে নিন৷
  • মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং 15 মিনিট অপেক্ষা করে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন৷
এই প্রাকৃতিক মিশ্রনের ব্যবহারে আপনার ত্বক থাকবে তেলমুক্ত মসৃণ ও উজ্জ্বল তবে মধুতে অনেকের এলার্জি থাকতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে আপনাকে নিয়মিত ব্যবহারের আগে কিছু ছোট অংশ পরীক্ষা করে নিতে হবে যাতে আপনার কোন রকম সমস্যা না হয়৷ সবকিছু নিয়ম মেনে আপনিও প্যাকটি ব্যবহার করুন৷ আর নিজের ত্বককে তৈলাক্ত মুক্ত আর আগের চেয়ে আরো বেশি উজ্জ্বল করে তুলুন৷
তৈলাক্ত-ত্বক-ফর্সা-করার-ঘরোয়া-উপায়

ডিম ,শসা ও পুদিনার প্যাক

প্রথমত ডিমের সাদা অংশ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই উপকারী৷ এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে ত্বক টানটান করতে সাহায্য করে৷ একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে শসার রস ও পুদিনা পাতা পেস্ট মিশিয়ে ত্বকে লাগান৷ শুকিয়ে গেলে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন৷ পুদিনার এন্টিবায়োটিকেরিয়াল উপাদান ব্রণ মুক্ত রাখবে ত্বক এ ছাড়া শসা ত্বকের ভেতর থেকে ঠান্ডা লাগবে৷ চাইলে আপনিও ব্যবহার করতে পারেন এই প্যাকটি৷ যা আপনার ফেসকে তেলমুক্ত ও উজ্জ্বল করে তুলবে আগের চেয়ে বেশি এবং আপনার ফেসের চিঠিটা ভাব দূর করতে সহযোগিতা করবে৷
ডিম শসা ও পুদিনার প্যাক ত্বকের যত্নে এক অসাধারণ প্রাকৃতিক সমাধান৷ ডিমের সাদা অংশ ত্বকের রোমকূপ টাইট করেও অতিরিক্ত তেল কমায়৷ সুশান্তকে ঠান্ডা সতেজ ও উজ্জ্বল করে৷ পুদিনা ত্বককে শীতলতা এনে ব্রণ ও প্রদাহ কমায়৷ । এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক হয় মসৃণ টানটান ও সতেজ৷ সব ধরনের ত্বকের জন্য এটি কার্যকর এটি ঘরোয়া উপায়৷ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হওয়ায় এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়

কমলার ফেসপ্যাক

মুখে অতিরিক্ত তেল কমাতে কমলালেবুর খোসার জুরি নেই৷ ২ চামচ কমলালেবুর খোসার গুড়া চার চামচ দুধ এক চামচ কাঁচা হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান৷ এরপর 20 মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন৷ এটা শুধু অতিরিক্ত তেলি কন্ট্রোল করবে না তোকে করে তুলবে উজ্জ্বল গ্লোয়িং৷ সপ্তাহে এটি এক থেকে দুই দিন ব্যবহার করুন৷ এবং প্রতি দিন নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করুন যাতে কোনো রকম সাইড ইফেক্ট না হয়৷

কাঁচা হলুদ বাটা চালের গুড়া কমলার খোসা ঘোড়া সামান্য মসুর ডাল বাটা একসঙ্গে পেস্ট করে পেস্টটি আপনার ফেস এ লাগান লাগানো শেষ হলে ১৫ মিনিট পর আপনার তোকে হালকা মাসাজ করুন  তারপরে একটি ধুয়ে ফেলুন৷ এতে আপনার ত্বক টান টান হবে৷ ত্বক টানটানো যেন না হয় সে কারণে ব্যক্তি ধোয়ার পর আপনি একটু আপনার ভেসে ময়েশ্চারাইজ করুন যার ফলে আপনার ভেসে যেন টানটান ভাব না হয়৷

পাকা কলার ফেসপ্যাক

পাকা কলা তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় অত্যন্ত কার্যকর৷ এটি ত্বককে উজ্জ্বল আর কোমলতা একসঙ্গে বাড়ায়৷ লেবুর রস টকের তেলতেলে ভাব দূর করতে সাহায্য করে৷ মধু হলো প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের ব্রণ ফুসকুড়ি র সমস্যা দূর করে ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে ময়শ্চারাইজ করতে সহযোগিতা করে৷ আপনারা প্রথমে একটি পাকা কলা ২ চা চামচ পার্টি লেবু রস  এবং এক চা চামচ মধুনি৷ কলার খোসা ছাড়িয়ে ফেলুন সেটি ভালো করে চটকে এর সঙ্গে মধু আর পাতি লেবুর রস৷

ভালোভাবে যোগ করুন তারপরে সেটি ভালো করে মেখে নিন ৷এরপরে একটি ঘন পৃষ্ঠার মতো তৈরি করুন৷ এই পেস্ট হাতে মুখে ও গলায় ও ত্বকে ভালো করে মেখে নিন মাখার পরে 15 মিনিট রেখে দিন৷ 15 মিনিট রাখা হয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন একটি নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে আপনার ফেসটি মুছে নিন সপ্তাহে অন্তত এই প্যাকটি দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন৷ আপনি যদি সপ্তাহে এটা একটি দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করেন তাহলে আপনি খুব সুন্দর ফলাফল পাবেন৷

শসার প্যাক

পেশা খুব ভালো পরিমাণে কাজ করে৷৷ ত্বকের ভিতরে অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে ও ত্বককে ভেতর থেকে ফ্রেশ রাখে৷ দুই টেবিল চামচ শসার পেস্ট এক চা চামচ গোলাপ জল ও কয়েক ফোটা লেবুর রস নিয়ে নিন একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মুখে লাগিয়ে নিন৷ ১৫  থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন৷ তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন ৷ আপনি চাইলে এটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন৷ তাহলে আপনার ফেসের তেল ভালোভাবে কন্ট্রোলে থাকবে৷ যদি আপনার প্রত্যেকদিন সময় না থাকে তাহলে সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন৷ তাহলে আপনার ত্বক থাকবে, ফ্রেশ ও তেল মুক্ত৷
শসার প্যাক ত্বকের জন্য একটি দারুন প্রাকৃতিক উপায়৷ পেতে থাকে ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রচুর পরিমাণে পানি। যা ত্বকের ঠান্ডা ও সতেজ রাখে৷ নিয়মিত শসার ব্যাগ ব্যবহার করলে ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমে যায়৷ এবং রোদে পড়া দাগ হালকা হয়৷ । এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও মসৃণ করে তোলে৷ সহজে ব্যবহারযোগ্য সব ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী৷ । তাই প্রাকৃতিকভাবে নিয়মিত ব্যবহার করা যেতে পারে৷তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়

শেষ কথা: তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়

তৈলাক্ত ত্বক অনেকের জন্য একটি বড় সমস্যা৷ কারণ এটি শুধু চেহারাকে নিঃশেষ করে না বরং ব্রণ ব্ল্যাকহেডস ও দাগ সোপের মত সমস্যাও তৈরি করে৷ তবে চিন্তার কিছু নেই প্রাকৃতিক ভান্ডার থেকে আমরা সহজেই পেতে পারি কার্যকর সমাধান। যেমন বেষনো হলুদের ফেসপ্যাক ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে টমেটোর রস ত্বককে টোন করে ও উজ্জ্বল করে এলোভেরা জেল ত্বককে ভেতর থেকে ঠান্ডা ও মসৃণ করে মধু ও লেবুর মিশ্রণ ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে এনে দেয় প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা৷ আবার ডিম শশা পুদিনার প্যাক । রোমকূপ টাইট করে৷
তৈলাক্ত-ত্বক-ফর্সা-করার-ঘরোয়া-উপায়
কমলার ফেসপ্যাক ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে এবং পাকা কলার ফেসপ্যাক ত্বকের নরম রাখে৷ শসার প্যাক ত্বককে সতেজ ও ঠান্ডা করে সাথে সাথে রোদে পরা দাগও হালকা করে৷ সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এই সমস্ত উপাদান আমরা ঘরে পাই বা আমাদের সকলের ঘরে পাওয়া যায়৷ এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক হওয়া এদের কোন৷ নিয়মিত এর সঠিক ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ত্বক ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে এবং আপনার ত্বক হয়ে ওঠে ফর্সা মসৃণ ও উজ্জ্বল৷ তাই বাজারে ব্যয়বহুল কেমিক্যাল যুক্ত ও কসমেটিক প্রোডাক্ট এ ভরসা না করে আজ থেকে শুরু করুন প্রাকৃতিক যত্ন৷

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url