ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করার শাস্তি
ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করার শাস্তি। ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করার শাস্তিবর্তমান আধুনিক যুগে ব্যাংক ঋণ অর্থনীতি অন্যতম চালিকাশক্তি। যা রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন, ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সাধারণত ব্যাংক আমানতকারীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করে এবং সেটি মানুষের কাছে বা গ্রাহকদের কাছে ঋণী হিসেবে প্রদান করে থাকে। জনগণ এর আমানত হচ্ছে ব্যাংকের মূলধন।
যেহেতু ব্যাংক মানুষের আমানত গ্রহণ করে তারা নিজেরা গ্রাহকের কাছে ঋণী হিসেবে
প্রদান করে, ফলে বলা যায় ঋণ নেওয়া হচ্ছে অন্যের আমানত বা সঞ্চয় ব্যবহার
করে নিজের চাহিদা পূরণ করা। যা আমরা আবার পরবর্তীতে পরিশোধ করে থাকি নির্দিষ্ট
সুদ অনুযায়ী। যারা ঋণ গ্রহণ করার পরে সেই ঋণ পরিশোধ করে না তাদের জন্য আইনিভাবে
কঠোর শাস্তি দেওয়া হয় বা শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
পেজ সূচিপত্র: ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করার শাস্তি
- ভূমিকা
- ব্যাংক ঋণের সংজ্ঞা
- ঋণ পরিষদের গুরুত্ব
- ঋণ পরিশোধনা করার কারণসমূহ
- আইন অনুযায়ী শাস্তির ধরন
- আর্থিক জরিমানা ও দেওয়ানী দায়ী
- কারাদণ্ড ও ফৌজদারি দায়ী
- ঋণ খেলাপির সামাজিক প্রভাব
- ঋণ খেলাপি রোধে সরকারি উদ্যোগ
- শেষ কথা:ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করার শাস্তি
ভূমিকা
ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত এক ধরনের আর্থিক সুবিধাকে বলা হয় ব্যাংক ঋণ। যেখানে
নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ শর্ত ও সময়সীমার ভিত্তিতে একজন গ্রাহককে অর্থ ধার নেন
এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে নির্ধারিত সময়ে সেই অর্থ ফেরত দেবেন। শুধু বাংলাদেশে
নয় বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যাংকের
ভূমিকা অপরিসীম। শিল্প কারখানা উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ী শুরু এ
সকল বিষয়ক এক ধরনের আর্থিক জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে আবার উদ্যোগ
তারা ব্যবসা শুরু, কৃষকরা জমিতে চাষাবাদ ফসল ফলানোর জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক সার
এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজন জনগণ বর্তমানে ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভরযোগ্য
হয়ে পড়েছে।
আরো পড়ুন :
প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
কিন্তু ঋণ গ্রহণের সাথে সাথে সেটি সঠিক সময়ে পরিষদ করার প্রতি গ্রাহকদের নৈতিক
ও আইনি দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায় ঋণশোধের মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থের প্রভাব
সচল থাকে যা দেশের সার্বিক অর্থনীতি শক্তিশালী করে। শুধু ঋণ পরিশোধ না করার
কারণে ব্যক্তি ও সমাজ উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। ব্যাংক
আমানতকারীর কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে ঋণ প্রদান করে থাকে তাই কোন গ্রাহক ঋণ শোধ
না করলে সেই অর্থ ফেরত দিতে ব্যাংকের সমস্যা দেখা দেয়। যার মূল কারণ হচ্ছে
ব্যাংক মানুষের আমানত নিজের মূলধন হিসেবে কাজে লাগায় এবং সেই টাকা মানুষকে ঋণ
দিয়ে থাকে। যার মাধ্যমে মানুষের সকল প্রয়োজন মেটাতে পারে। এবং নিজের
অর্থনৈতিক কাজে ব্যবহার করতে পারে।ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করার শাস্তি।
ব্যাংক ঋণের সংজ্ঞা
সাধারণত ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত এক ধরনের আর্থিক সুবিধা কে ব্যাংক ঋণ বলা হয়
।যেখানে নির্দিষ্ট শর্ত সুদ ও সময়সীমার ভিত্তিতে একজন গ্রাহক অর্থ ধারণ নেন
এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে নির্দিষ্ট সময়ে সেই অর্থ ফেরত দেবেন এটি মূল একটি
চুক্তিভিত্তিক আর্থিক লেনদেন ঋণ হতে পারে । ঋণ হতে পারে স্বল্পমেয়াদি,
মধ্যমেয়াদি ,কিংবা দীর্ঘমেয়াদী ,বাংলাদেশের শিক্ষা আবাসন চিকিৎসা
এমনকি ভোক্তা খাতে ও ঋণ প্রদান করে থাকে । সকল ব্যাংকের বিশেষত্ব হলোহলো
ব্যাংক মূলত আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহীত অর্থ নিজের মূলধন হিসেবে ব্যবহার
করে এবং সে অর্থ থেকে গ্রাহকদের ঋণ দিয়ে থাকে।
আরো পড়ুন:
টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে
বর্তমান বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশের ব্যাংক ঋণ কে উন্নয়নের প্রধান
চালিকাশক্তি হিসেবে ধরা হয়। উন্নত কিংবা উন্নয়নশীল সব দেশেই শিল্পায়ন কৃষি
সম্প্রসারণ ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণ অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যার কারণে বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও মাজারের
উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এর পাশাপাশি দেশের
অর্থনৈতিক খাতের ব্যাংক ঋণ মাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা
একটি দেশের অর্থনৈতিক ভীত শক্ত করার বিশেষ দিক বা চালিকাশক্তি।ব্যাংক ঋণ
পরিশোধ না করার শাস্তি।
ঋণ পরিশোধের গুরুত্ব
প্রতিটি গ্রাহকের জন্য নৈতিক সামাজিক ও আইনগত দায়িত্ব হচ্ছে ঋণ পরিশোধ করা।
কারণটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে ব্যাংক যে অর্থ ধার দেয় সেটি মূলত সাধারণ আমানতকারীর
টাকা যা ব্যাংক আমানতকারীর কাছ থেকে সংগ্রহ করে নিজের মূলধন হিসেবে রাখে এবং
সেটি মানুষকে ঋণ হিসেবে দিয়ে থাকে। যার কারণে ঋণের টাকা ফেরত দেওয়া মানে
অন্যের অধিকার রক্ষা করা। প্রতিটি গায়ক যদি সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করে তাহলে
ব্যাংকের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং নতুন গ্রাহকের ঋণ দেওয়ার সুযোগ
সৃষ্টি হয় এটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের সহায়তা করে।
ঋণ পরিশোধের গুরুত্ব কেবল অর্থনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় ব্যক্তিগত জীবন ও তা
অপরিসীম। একজন নিয়মিত ঋণ পরিশোধকারী গ্রাহক সৎ ও সামাজিক দায়িত্বশীল হিসেবে
দেখা হয়। তার প্রতিটি আত্মীয়-স্বজন ব্যবসায়িক অংশীদার এবং ও ব্যাংক
কর্মকর্তাদের আস্থা বৃদ্ধি পায় যাতে পরবর্তীতে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে যেন তারা
একটু সুবিধা ভোগ করে যা প্রত্যেকটি গ্রাহকের জন্য একটি ভালো। তাই সকলেরই উচিত
সঠিক সময়ের মধ্যে ঋণ এর টাকা পরিশোধ করে দেওয়া। যাতে পরবর্তীতে ঋণ নেওয়ার
ক্ষেত্রে যেন কোন সমস্যা না হয়। এবং খুব সহজেই ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশ্বাস
অর্জন করা যায়।
ঋণ পরিশোধ না করার কারণ সমূহ
বর্তমানে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করার অনেক কারণ রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হচ্ছে, প্রকৃত অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে অনেক গ্রাহক ঋণশোধ করতে পারেনা।
যেমন:-কৃষি উৎপাদনে প্রকৃত দুর্যোগ, ব্যবসায় ক্ষতি বাজারে পণ্যের চাহিদা কমে
যাওয়া বা হঠাৎ আয় কমে যাওয়া। এ সকল কারণে ঋণগ্রহীতা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও
সময়মতো কিস্তি দিতে পারে না। দ্বিতীয়ত ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি অন্যতম বড় সমস্যা
অনেক গ্রাহক ব্যাংকের দুর্বল নীতি ও কোন তফসিলের সুযোগে অপব্যবহার করে ঋণ শোধ
করে থাকে না। যার কারণে অনেক সময় ব্যাংক দেউলিয়া পথে চলে যায়।
আরো পড়ুন:
কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়
যারা ব্যাংকের দুর্বল নীতি নিয়মের দূর্বলতাকে ব্যবহার করে ঋণ পরিশোধ করে
না তারা মনে করে শেষ পর্যন্ত কোন না কোন ভাবে ছাড় পাবেন। এতে ব্যাংক
ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সাধারণ গ্রাহকের উপর ভারী চাপ পড়ে। তৃতীয়ত ব্যাংকিং
খাতে দুর্বলতা ও আইন প্রয়োগের ঘাটতিও ঋণ খেলাপির কারণ অনেক ক্ষেত্রে ঋণ
অনুমোদনের দুর্নীতি হয় জাল কাগজপত্র ব্যবহার হয় আবার ঋণ আদায় এর প্রশাসনিক
জটিলতা ও মামলা দীর্ঘসূত্র তা ঋণ খেলাপির উৎসাহিত করে অনেক সময় গ্রাহক নিজের
আর্থিক সক্ষমতা যাচাই না করে ঋণ দেন পরে তা শোধ করতে গিয়ে সমস্যাতে পড়তে হয়
যা ব্যাংকের জন্য অনেক ক্ষতিগ্রস্ত ও ক্ষতিকর দিক হয়ে দাঁড়ায়।ব্যাংক ঋণ
পরিশোধ না করার শাস্তি।
আইন অনুযায়ী শাস্তির ধরন
বর্তমান বাংলাদেশের ঋণ খেলাপির বিরুদ্ধে কড়া আইনের ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থ ঋণ
আদালত আইন 2003 অনুসারে ঋণ খেলাপির বিরুদ্ধে ব্যাংক সরাসরি মামলা করতে পারে।
প্রয়োজন মনে করলে আদালত ও ঋণগ্রহীতার সম্পদ বাজেয়াপ্ত ব্যাংক হিসাব জব্দ
কিংবা নিলামে বিক্রি করার আদেশ দিতে পারে এছাড়া দেওয়া-নেও ফৌজদারি উভয় ধরনের
শাস্তি বিধান রয়েছে। আয়ন অনুযায়ী ড্রোন খেলাপির শাস্তির দুই ভাবে কার্যকর
করা হয়। প্রথমত দেওয়ানী দায়ের মাধ্যমে,
তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও আর্থিক জরিমানা ধার্য করা হয়। আর দুই নম্বর দিক হচ্ছে
যদি দেখা যায় যে গ্রাহক ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ শোধ করছে না বা প্রতারণার আশ্রয়
নিচ্ছেন তবে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয় এবং কারাদণ্ড দেওয়া হয় এর
শাস্তির মূল লক্ষ্য হলো জবাবদিহির মধ্যে আনা কারণ যদি শাস্তির ভয় না থাকে তবে
অনেক গ্রাহক ঋণ নিয়ে তা ফেরত না দেওয়ার চেষ্টা করে। কঠোর আইন ও তার কার্যকর
প্রয়োগ ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা রক্ষা করছে।
আর্থিক জরিমানা ও দেওয়ানী দায়ী
মূলত দেওয়ানী দায়ী আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণের সাথে
সম্পর্কিত রয়েছে। না করলে ব্যাংক আদালতের মাধ্যমে ঋণ গ্রহীতার বাড়ি জমি বাড়ি
বা অন্যান্য সম্পদ পর্যাপ্ত করতে পারে। এসব সম্পদ পাওনা আদায় করে নেওয়ার
ক্ষমতা রাখে দেওয়ানি দায়ের মাধ্যমে। এছাড়া আদালতের আদেশ অনুযায়ী ঋণগ্রই তার
ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। যাতে সে গ্রাহক আর্থিক লেনদেন করতে না পারে।
আদালত অনেক ক্ষেত্রে মূল ঋণের উপর বাড়ির সুদ বা জরিমানা আরোপ করে যা ঋণ
গ্রহীতার জন্য বাড়ির বোঝা তৈরি করে এর ফলে রিং হয় তা আর্থিকভাবে বিপরীত হয়।
ও বড় ধরনের একটি সমস্যার সম্মুখীন হয়।
আরো পড়ুন:
আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬
বর্তমানে দেওয়ানী দায়ী কেবল অর্থনৈতিক চাপই নয়, এটি সামাজিক চাপও তৈরি করে
কারণ যখন কোন ব্যক্তি সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয় বা তার নাম তালিকাভুক্ত হয়ে যায়
তখন সমাজে তার মর্যাদা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং কমে যায়। ব্যবসায়িক
অংশীদার আস্থা হারায় এবং ভবিষ্যতে আর্থিক লেনদেনের সমস্যায় পড়ে এবং পরবর্তী
ঋণ নেওয়ার সময় ব্যাংক র্মকর্তারা তার উপর ঋণ দেওয়ার বিশ্বাস পায় না যার
কারণে পরবর্তীতে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে একজন গ্রাহকের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে
হয় শুধু সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ না করার কারণে।
কারাদণ্ড ও ফৌজদারি দায়ী
বর্তমানে শুধু ঋণ ক্লাবের ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা নয় এখন ফৌজদারী দায়ও হতে
পারে ঋণ খেলাপি গ্রাহকের ওপর। যদি প্রমাণ হয় যে গ্রাহক ইচ্ছাকৃতভাবে তার ঋণ
ফেরত দিচ্ছে না সে প্রতারণা করার চেষ্টা করছে বা প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ার
চেষ্টা করছে এবং জাল কাগজপত্র ব্যবহার করা চেষ্টা করছে তবে তার বিরুদ্ধে
ফৌজদারি মামলা করা হয় বা যাবে। এর শাস্তি হিসেবে শুধু কয়েক মাসে কারণ আনন্দ
নয় কয়েক মাস থেকে কয়েক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। যার কারণে ঋণ নেওয়ার
সময় সকল গ্রাহকদের খেয়াল রাখতে হবে যে সঠিক সময় ঋণ পরিশোধ করা আইনগত ও
সামাজিক দায়িত্ব।ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করার শাস্তি।
যদি কোন গ্রাহক মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঋণ নেয় টাকা নির্দিষ্ট খাতে ব্যবহার না করে
কিংবা অন্য কাজে ব্যয় করে সে সকল কাজী দণ্ডনীয় অপরাধ। কারাদণ্ড
শুধু শাস্তি নয় বরং এটি সমাজে সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করে যাতে
পরবর্তীতে কোন গ্রাহক একই ভুল না করে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে। মূলত ফোজদার দায়
একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে বড় ধরনের নীতিবাচক প্রভাব
ফেলে কারাদণ্ড হলে তার সামাজিক মর্যাদা নষ্ট হয় পরিবারের সদস্যরা কষ্ট পায়
এবং ভবিষ্যতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তার প্রতি আস্থা হারায় এবং বিশ্বাস
হারিয়ে ফেলে। তাই সকল গ্রাহকের উচিত। সঠিক নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণ করা এবং ঋণ
পরিশোধ করা।
ঋণ খেলাপির সামাজিক প্রভাব
সাধারণত ঋণ খেলাপি হওয়ার প্রভাব সমাজে বহুমাত্রিকভাবে পড়ে। একজন ঋণ
খেলাপি সমাজ সমাজের অবস্থিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন হিসেবে দেখা হয় এতে তার
পরিবারের আত্মীয়-স্বজন ও সামাজিক সম্পর্ক অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক সময়
তাদের সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পারিবারিক চিকিৎসা বা বিয়ের মতো বড়
সামাজিক অনুষ্ঠানের নৈতিক বাচক প্রভাব ফেলে। যদি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ঋণ
খেলাপি হলে অংশীদাররা আস্থা হারায় যে পরবর্তীতে ওনার বা ওই গ্রাহকের সঙ্গে
ব্যবসা করা কি সঠিক। নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পার্টনার পাওয়া সম্ভব হয় না।
এবং ব্যবসায়ী প্রসার ব্যাহত হয়। যেটি ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে
একটি গুরুতর ক্ষতিকর বিষয়। এছাড়াও ঋণ খেলাপির কারণে আর্থিক
প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সাধারণ মানুষ সাধারণ গ্রাহকের আস্থা কমে যায় যা
সামগ্রিক অর্থনৈতিক দূর্বলতা তৈরি করে। এর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী ঋণ খেলাপি
সমাজে এক ধরনের অস্থিরতা ও অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করে মানুষ পরস্পরের উপর
আস্থা রাখতে ভয় পায় পরবর্তীতে তার সঙ্গে লেনদেন করতে ভয় পাই তাই ঋণ
খেলাপি কেবল ব্যক্তিত্ব নয় বরং সামগ্রিক সামাজিক সমস্যা হিসেবে দাঁড়ায়।
বর্তমান সময়ে সরকার ঋণ খেলাপি রোধে নানা রকম উদ্যোগ নিচ্ছে। প্রথমত বিশেষ অর্থ
ঋণ আদালত গঠন করা হচ্ছে বা হয়েছে। যাতে দ্রুত ঋণ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি
হয় বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিতভাবে ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করে যাতে তাদের
সামাজিকভাবে চাপের রাখা যায় এবং খুব সহজে ঋণ খেলাপি রোধ করা যায়। এর সুযোগ
দেওয়া হয়েছে যাতে পরবর্তীতে প্রকৃত সমগ্র নতুন সময়সীমা পেয়ে ঋণ শোধ করতে
পারে। কিন্তু যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ খেলাপি চেষ্টা করবে তাদেরকে সরাসরি শাস্তি
দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন:
শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার দশটি উপায়
তাদেরকে কোনোভাবে এরকম কোন সুযোগ দেওয়া হবে না। তৃতীয় তো আধুনিক প্রযুক্তির
ব্যবহার করে ঋণ বিতরণ ও আদায় প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়
পত্র ভিত্তিক ট্রাকিং সিস্টেম চালু করা আছে ক্রেডিট ইনফরমেশন পুরো এবং ডিজিটাল
ব্যাংকিং এর মাধ্যমে একজন গ্রাহকের পূর্ব ইতিহাস সহজেই যাচাই-বাছাই করা যায়।
এই সকল উদ্যোগ ঋণ খেলাপি রোধের গুরুত্বপূর্ণভাবে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখছে। যা
বর্তমান সমাজের ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর পদক্ষেপ যাতে সমাজে ঋণ
খেলাপি গ্রাহকদের সংখ্যা অত্যন্ত কমে যায়। এবং খুব সহজেই সকল গ্রাহকরা সৎভাবে
টাকা লেনদেন করতে পারে।
শেষ কথা: ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করার শাস্তি
সবশেষে বলা যায় ব্যাংক ঋণ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। কিন্তু
যদি এটি সময় হতো ফেরত না দেওয়া হয় তাহলে ব্যাংক অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
তবে এটি সময় মত ফেরত না দিলে ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্র তিন স্তরে নৈতিক বাচক
প্রভাব পড়ে দের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলেও সবচেয়ে কার্যকর সমাধান
হলো সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতা। একজন গ্রাহকের উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে তার
দায়িত্ব শীলতা। একজন নাগরিক যখন ঋণ গ্রহণ করে তখন তিনি কেবল ব্যাংকের কাছে
নয়, আমানতকারীদের কাছেও দায়িত্ববদ্ধ হন।
যার কারনে ঋণ শোধ করা মানে শুধু নিজের দায়িত্ব পালন নয় বরং অন্যের অধিকার
নিশ্চিত করা ঋণ খেলাবি রোদে আইনে কাঠামো সরকারি উদ্যোগ এবং ব্যক্তিগত
দায়িত্বশীলতা সচেতনতা সব একসাথে কাজ করতে হবে। সকল গ্রাহকদের মনে রাখতে
হবে ঋণ গ্রহণ কোন অধিকার নয় বরং দায়িত্বের অঙ্গীকার আর সেই দায়িত্ব পালন করা
প্রত্যেকটি গ্রাহকের নামই হলো সময় মতো ঋণ শোধ করা। একজন গ্রাহক যখন সময়মতো
তার ঋণকৃত টাকা ফেরত দেয় তখন সেই গ্রাহকটি ব্যাংকের বা ব্যাংক কর্মকর্তাদের
কাছে একজন বিশ্বস্ত গ্রাহক হিসেবে গণ্য করা হয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url